শনিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৬

**** দুই খ্যাপা কোচের গল্প ****

প্রিমিয়ার লিগের পরাশক্তি দুই ক্লাবের লড়াই। সেটা এমনিতেই আকর্ষণীয় হওয়ার কথা। কিন্তু ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-আর্সেনাল লড়াইটা যেন এর চেয়েও বেশি কিছু। ক্লাব ছাপিয়ে এটা আসলে দুই কোচের লড়াই-ই হয়ে গেছে। হোসে মরিনহো চেলসির কোচ থাকার সময় থেকে আর্সেনাল কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গারের সঙ্গে তাঁর দ্বৈরথের শুরু। দুজন এত বিতর্কিত কাণ্ড করেছেন যে ম্যাচের চেয়ে বেশি এই দুজনকে নিয়ে বেশি খবর করতে হয়েছে সংবাদমাধ্যমের। এখন মরিনহো ইউনাইটেডে হলেও সেই লড়াইয়েই ঝাঁজ কমেনি একটুও। আরও একবার দুজনে মুখোমুখি হওয়ার আগে তাঁদের পুরনো কিছু বাগ্‌যুদ্ধের গল্প—
১.
আমাদের নিয়ে ওয়েঙ্গারের অনেক সমস্যা। কিছু লোক থাকে যারা অন্যদের যৌনাচার দেখে আনন্দ পায়। আর্সেন ওয়েঙ্গার তেমনই। কিছু লোক থাকে, যাদের বাড়িতে বড় টেলিস্কোপ থাকে, ওটা দিয়ে ওরা দেখে অন্য পরিবারে কী হচ্ছে। ওয়েঙ্গার অবশ্যই সে রকম একজন। এটা অসুস্থতা। সে চেলসিকে নিয়ে কথা বলতেই থাকে, বলতেই থাকে...
-সাবেক ক্লাব চেলসিকে নিয়ে ওয়েঙ্গারের একটা মন্তব্যের জবাবে ২০০৫ সালে হোসে মরিনহো
সে একটা বদ্ধ উন্মাদ। বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন ও অসম্মানিত একজন মানুষ। গর্দভ লোকেরা যখন সাফল্য পায়, ওরা কখনো কখনো আরও গর্দভ হয়ে যায়।
-মরিনহোর ওপরের কথাগুলোর জবাবে এটাই বলেছিলেন আর্সেন ওয়েঙ্গার
২.
এটা আসলে ব্যর্থ হওয়ার ভয়।
-২০১৪ ফেব্রুয়ারিতে চেলসির শিরোপা সম্ভাবনা নিয়ে মরিনহো কথা বলতে রাজি হননি শুনে আর্সেন ওয়েঙ্গার
আমি ব্যর্থতাকে ভয় পাই? আরে সে (ওয়েঙ্গার) হচ্ছে ব্যর্থতার বিশেষজ্ঞ, আমি নই। সুতরাং কেউ যদি মনে করে ওয়েঙ্গার ঠিক বলেছে, আমি ব্যর্থতাকে ভয় পাই, এর কারণ হচ্ছে আমি খুব বেশি ব্যর্থ হইনি। এদিক থেকে হয়তো ওয়েঙ্গার ঠিকই বলেছে, আমি ব্যর্থতায় অভ্যস্ত নই। আর ওর কথা কী বলব! আট বছর কোনো শিরোপাছাড়া—এর চেয়ে বড় ব্যর্থতা আর কী আছে।
-ওয়েঙ্গারকে জবাব দিতে দেরি করেননি হোসে মরিনহো ......
৩.
ফুটবল মাঠে কারও আচরণ এ রকম হতে পারে না। মরিনহো আমাকে প্ররোচিত করেছে কি না, যদি জিজ্ঞেস করেন তাহলে আমি বলল, হ্যাঁ, অবশ্যই করেছে। আমি তো আর চেলসির ডাগ আউটে যাইনি।
-২০১৪ সালের অক্টোবরে টাচলাইনে মরিনহোর সঙ্গে হাতাহাতি নিয়ে আর্সেন ওয়েঙ্গার
আমি যদি অপরাধী হতাম, তাহলে তো এতক্ষণে স্টেডিয়ামে ঢোকার নিষেধাজ্ঞা জুটে যেত কপালে।
-হোসে মরিনহোর জবাব

৪.
এই দেশে শুধু একজন কোচই কোনো চাপে থাকে না কখনো। বাকি সবাই চাপে থাকে। আপনারা জানেন কে চাপে থাকে না। সে ম্যাচের আগে ও পরে রেফারিদের নিয়ে কথা বলে, টাচলাইনে এসে হাতাহাতি করে, অন্যদের ওপর দোষ চাপায়। সে সকাল-বিকেল-সন্ধ্যা যেকোনো সময় বিনা কারণে কাঁদতে পারে। তার কোনো প্রাপ্তি নেই, তারপরও তার চাকরি যায় না। সে-ই রাজা হয়ে থাকে।
- গত মৌসুমে ওয়েঙ্গারকে নিয়ে মরিনহোর মূল্যায়ন........

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

thanks for your nice comments............


b.reg
ANIK SABBIR