‘
এসো আঠারোয় ’
আগামীকাল শুক্রবার আঠারো আসবে নেমে, ঢাকার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে। সকাল সাড়ে নয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত। প্রথম আলোর ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পাঠক উৎসব—এসো আঠারোয়।
আঠারো তো নেমে এসেছিল এই দেশে, যখন তরুণেরা উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণার প্রতিবাদে ‘না’ ‘না’ বলে উঠেছিল। আঠারো তো নেমে এসেছিল সেদিন, যেদিন ছাত্ররা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করতে হবে। আঠারো বারবার নেমে এসেছে এ দেশের স্বাধিকার আন্দোলনে, ছায়ানটের বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে, গণ-অভ্যুত্থানে আসাদের রক্তাক্ত শার্টকে পতাকা বানিয়ে। আঠারো নেমে এসেছিল ১৯৭১-এ। আঠারো নেমে এসেছিল নূর হোসেনের বুকের পোস্টারে—গণতন্ত্র মুক্তি পাক স্লোগানে।
আবার আমরা আঠারোর ঝলক দেখি তামিম ইকবালের ডাউন দ্য উইকেটে এসে মারা ছক্কায়, সাকিব আল হাসানের অলরাউন্ড শৈলীতে, মোস্তাফিজের কাটারে, মিরাজের ঘূর্ণিবলে। আঠারোকেই ঊর্ধ্বে তুলে ধরে অনূর্ধ্ব-১৬ মেয়েদের দল, এএফসি কাপের আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ের মাঠে। দেখি জ্ঞান-বিজ্ঞান, ব্যবসা-আইটি নানা ক্ষেত্রে। প্রথম আলোর আঠারো বছর পূর্তির উৎসব তাই সুকান্তর ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতার বার্তাকে আরেকবার ধ্বনিত করার উৎসব।
আঠারো তো নেমে এসেছিল এই দেশে, যখন তরুণেরা উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণার প্রতিবাদে ‘না’ ‘না’ বলে উঠেছিল। আঠারো তো নেমে এসেছিল সেদিন, যেদিন ছাত্ররা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করতে হবে। আঠারো বারবার নেমে এসেছে এ দেশের স্বাধিকার আন্দোলনে, ছায়ানটের বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে, গণ-অভ্যুত্থানে আসাদের রক্তাক্ত শার্টকে পতাকা বানিয়ে। আঠারো নেমে এসেছিল ১৯৭১-এ। আঠারো নেমে এসেছিল নূর হোসেনের বুকের পোস্টারে—গণতন্ত্র মুক্তি পাক স্লোগানে।
আবার আমরা আঠারোর ঝলক দেখি তামিম ইকবালের ডাউন দ্য উইকেটে এসে মারা ছক্কায়, সাকিব আল হাসানের অলরাউন্ড শৈলীতে, মোস্তাফিজের কাটারে, মিরাজের ঘূর্ণিবলে। আঠারোকেই ঊর্ধ্বে তুলে ধরে অনূর্ধ্ব-১৬ মেয়েদের দল, এএফসি কাপের আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ের মাঠে। দেখি জ্ঞান-বিজ্ঞান, ব্যবসা-আইটি নানা ক্ষেত্রে। প্রথম আলোর আঠারো বছর পূর্তির উৎসব তাই সুকান্তর ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতার বার্তাকে আরেকবার ধ্বনিত করার উৎসব।
পাঠকেরা আসবেন কাল বাংলা একাডেমিতে। আসবেন লেখকেরা। আসবেন সৈয়দ আবুল মকসুদ, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। আসবেন তারকারা হানিফ সংকেত, আফজাল হোসেন, জুয়েল আইচ, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, ফেরদৌস, অপি করিম, জয়া আহসান কিংবা তিশা। আঠারো বছর বয়স গানটি নিয়ে আসবেন মিনার, প্রীতম, ঐশী ও তৌফিক। কথা বলতে আসবেন আয়মান সাদিক কিংবা আনিকা বুশরার মতো তরুণ কথকেরা। থাকবে তুরঙ্গিমীর নাচ, শাফিন আহমেদ, শফি মন্ডল, শাহেদ, পিন্টু ঘোষ, এস আই টুটুল, দিনাত জাহান মুন্নী, পারভেজ, রাজিব, কিশোর, সালমা, মুহিন, রন্টি, সাব্বির, পুলক, ইমরান, কর্ণিয়া, সায়ান, অনিমা রায়, সাজেদ ফাতেমী, আশিক, মিনার, প্রীতম, ঐশী, তৌফিক, নাউমী, মিনার, ওয়ার্দা আশরাফ, সুহাশ, শর্মী খান ও অর্পিতার গান, জালালের বাঁশি, নয়নের ঢোল, প্রাচ্যনাটের নাটিকা, কণ্ঠশীলনের আবৃত্তি। বব ডিলানের গান পরিবেশন করবেন শাহেদ, ওয়ার্দা, সুহাশ, শর্মী খান।
প্রথম আলোয় প্রকাশিত আলোকচিত্র আর কার্টুনের প্রদর্শনী থাকবে। থাকবে নকশা, বিনোদন, খেলা, কিশোর আলো, বিজ্ঞানচিন্তা, এবিসি রেডিওর স্টল। মনোবিদেরা আসবেন, রন্ধনবিদেরা, কার্টুনিস্টরা, সৌন্দর্যবিদেরাও আসবেন। খেলোয়াড়রা আসবেন, বড় বড় গায়ক আসবেন। থাকবে শিশুদের আঙিনা, অ্যাডভেঞ্চার। মেহেদি পরানো থেকে আপ্যায়ন—কত কী যে থাকবে।
পুরো আয়োজনটা পাঠকদের জন্য। প্রথম আলোর পাঠকদের জন্য একদম ফ্রি। আপনিও আসুন। প্রথম আলোর সম্পাদকসহ সাংবাদিকেরা পাঠকদের মুখোমুখি দাঁড়াবেন তাঁদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য। গত বছর একজন প্রশ্ন করেছিলেন, পরীক্ষার রেজাল্ট বেরুলে শুধু মেয়েদের ছবি ছাপা হয় কেন। এবার প্রথম আলো প্রথম পাতায় ছেলেদের ছবি ছেপেছে। দেখি, এবার পাঠকেরা কী পরামর্শ আমাদের দেন।
আমি অবশ্যই যাব। ঘুরঘুর করব প্রথমার বইয়ের স্টলের পাশে। তবে গায়ে পাঞ্জাবি থাকবে না, থাকবে আঠারো-মার্কা পোলো শার্ট:)
আক্ষেপ ছিল, কেন আপা ডাকবে না
জয়া আহসান, অভিনেত্রী
এখনকার তরুণ-তরুণীদের মতো বয়স অনুযায়ী আলাদা করে বলা কঠিন। কারণ ওই হিসাবটা ঠিকমতো করতাম না। তবে ঠিক ১৮ না, টিনএজ বয়সের আমার কিছু কষ্ট আছে, কারণ ওই সময় আমার এক-দুই বছরের ছোট ভাইবোনেরা আমাকে ‘আপা’ ডাকত না। কেউ সেভাবে বড় বোন ভাবত না। এ কারণে আমার বাবাকে দিয়ে রীতিমতো ওদের বকা খাওয়াতাম। শুধু বকা না, আমাকে যাতে বড় দেখা যায় এ কারণে আমি চুরি করে মায়ের হিল পরতাম। এতে একটু উঁচু দেখাত বটে, কিন্তু কাজিনরা তুই তোকারিই করত। আরও একটু বয়সী যাতে দেখায় এ কারণে কোনো কারণ ছাড়াই চশমা নিয়ে নিলাম। কিন্তু সমস্যা থেকেই গেল। ওই বয়স নিয়ে এটাই আমার স্মৃতি।
এখনকার তরুণ-তরুণীদের মতো বয়স অনুযায়ী আলাদা করে বলা কঠিন। কারণ ওই হিসাবটা ঠিকমতো করতাম না। তবে ঠিক ১৮ না, টিনএজ বয়সের আমার কিছু কষ্ট আছে, কারণ ওই সময় আমার এক-দুই বছরের ছোট ভাইবোনেরা আমাকে ‘আপা’ ডাকত না। কেউ সেভাবে বড় বোন ভাবত না। এ কারণে আমার বাবাকে দিয়ে রীতিমতো ওদের বকা খাওয়াতাম। শুধু বকা না, আমাকে যাতে বড় দেখা যায় এ কারণে আমি চুরি করে মায়ের হিল পরতাম। এতে একটু উঁচু দেখাত বটে, কিন্তু কাজিনরা তুই তোকারিই করত। আরও একটু বয়সী যাতে দেখায় এ কারণে কোনো কারণ ছাড়াই চশমা নিয়ে নিলাম। কিন্তু সমস্যা থেকেই গেল। ওই বয়স নিয়ে এটাই আমার স্মৃতি।
প্রথম মঞ্চে উঠেছিলাম
জাহিদ হাসান, অভিনেতা
যত দূর মনে পড়ে, ১৮ বছর বয়সে আমি প্রথম মঞ্চে উঠেছিলাম। ১৯৮৪ সালের ১০ আগস্ট। সিরাজগঞ্জের তরুণ সম্প্রদায়ের নাটক সাত পুরুষের ঋণ-এ। বিটিভিতে সরাসরি দেখিয়েছিল নাটকটি। ওই নাটকে অভিনয়ের অনুপ্রেরণা নিয়েই আমার ঢাকায় আসা। টেলিভিশনে অভিনয় করা এবং আজকের জাহিদ হাসান হওয়া। ১৮ আমাকে অনেক কিছুই দিয়েছে।
তবে ১৮ বছর বয়সী প্রথম আলোর কাছে আমার দাবি হলো, তারা যেন আরও বেশি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করে। এখন তো পূর্ণবয়স্ক হলো, তাই আরও বেশি দায়িত্বশীল হবে এমনটাই চাওয়া আমাদের।
যত দূর মনে পড়ে, ১৮ বছর বয়সে আমি প্রথম মঞ্চে উঠেছিলাম। ১৯৮৪ সালের ১০ আগস্ট। সিরাজগঞ্জের তরুণ সম্প্রদায়ের নাটক সাত পুরুষের ঋণ-এ। বিটিভিতে সরাসরি দেখিয়েছিল নাটকটি। ওই নাটকে অভিনয়ের অনুপ্রেরণা নিয়েই আমার ঢাকায় আসা। টেলিভিশনে অভিনয় করা এবং আজকের জাহিদ হাসান হওয়া। ১৮ আমাকে অনেক কিছুই দিয়েছে।
তবে ১৮ বছর বয়সী প্রথম আলোর কাছে আমার দাবি হলো, তারা যেন আরও বেশি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করে। এখন তো পূর্ণবয়স্ক হলো, তাই আরও বেশি দায়িত্বশীল হবে এমনটাই চাওয়া আমাদের।
১৮ বছর বয়সের প্রেমগুলো খুব মিস করি
হাবিব ওয়াহিদ, সংগীতশিল্পী
আমার বয়স যখন ১৮-এর কাছাকাছি, তখন আর্ক ব্যান্ডের সঙ্গে কি-বোর্ড বাজাতাম। ওই বয়সে আমার জীবনে আরও একটি স্মরণীয় ঘটনা ঘটেছিল। একবার মাইলস ব্যান্ডের মানাম ভাই (মানাম আহমেদ) তিন মাসের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। তখন মাইলসের একটি শোতে মানাম ভাইয়ের জায়গায় আমাকে কি-বোর্ড বাজানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। মাইলস তো এখনো অনেক জনপ্রিয় একটি ব্যান্ড, কিন্তু সে সময় এই ব্র্যান্ডের জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। আমি যাঁদের গানের ভক্ত, তাঁদের সঙ্গে একই মঞ্চে পরিবেশন করতে পারাটা আমার তরুণ বয়সের অন্যতম বড় একটি অর্জন। এটা তো গেল কাজের কথা। আর ব্যক্তিগত জীবনে আমি আমার ১৮ বছর বয়সের প্রেমগুলো খুব মিস করি। পাড়ার রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় হয়তো কোনো মেয়ের সঙ্গে চোখাচোখি হয়ে গেল অথবা বারান্দায় এসে কোনো মেয়ে দাঁড়াল আর ওমনি তাঁকে ভালো লেগে গেল—এ ধরনের প্রেমগুলো তো আর এখন চাইলেও হবে না।
আমার বয়স যখন ১৮-এর কাছাকাছি, তখন আর্ক ব্যান্ডের সঙ্গে কি-বোর্ড বাজাতাম। ওই বয়সে আমার জীবনে আরও একটি স্মরণীয় ঘটনা ঘটেছিল। একবার মাইলস ব্যান্ডের মানাম ভাই (মানাম আহমেদ) তিন মাসের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। তখন মাইলসের একটি শোতে মানাম ভাইয়ের জায়গায় আমাকে কি-বোর্ড বাজানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। মাইলস তো এখনো অনেক জনপ্রিয় একটি ব্যান্ড, কিন্তু সে সময় এই ব্র্যান্ডের জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। আমি যাঁদের গানের ভক্ত, তাঁদের সঙ্গে একই মঞ্চে পরিবেশন করতে পারাটা আমার তরুণ বয়সের অন্যতম বড় একটি অর্জন। এটা তো গেল কাজের কথা। আর ব্যক্তিগত জীবনে আমি আমার ১৮ বছর বয়সের প্রেমগুলো খুব মিস করি। পাড়ার রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় হয়তো কোনো মেয়ের সঙ্গে চোখাচোখি হয়ে গেল অথবা বারান্দায় এসে কোনো মেয়ে দাঁড়াল আর ওমনি তাঁকে ভালো লেগে গেল—এ ধরনের প্রেমগুলো তো আর এখন চাইলেও হবে না।
তারকাখ্যাতি আমার অর্জন
পূর্ণিমা, অভিনেত্রী
আমি ক্লাস নাইনে থাকতে অভিনয় শুরু করি। প্রথম ছবি জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত এ জীবন তোমার আমার। সেই ছবির প্রথম দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে প্রথম শটটি একবারে ‘ওকে’ হয়েছিল। তারপর তো বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছি। ১৮ বছর বয়সে আমার অর্জন হলো, আমি তখন কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করে বেশ পরিচিত মুখ। যেখানে যাই লোকজন পছন্দ করেন, কথা বলেন। অটোগ্রাফও দিতে হয়েছে। আসলে ওই বয়সে তারকাখ্যাতি পাওয়াই আমার অর্জন।
আমি ক্লাস নাইনে থাকতে অভিনয় শুরু করি। প্রথম ছবি জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত এ জীবন তোমার আমার। সেই ছবির প্রথম দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে প্রথম শটটি একবারে ‘ওকে’ হয়েছিল। তারপর তো বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছি। ১৮ বছর বয়সে আমার অর্জন হলো, আমি তখন কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করে বেশ পরিচিত মুখ। যেখানে যাই লোকজন পছন্দ করেন, কথা বলেন। অটোগ্রাফও দিতে হয়েছে। আসলে ওই বয়সে তারকাখ্যাতি পাওয়াই আমার অর্জন।
একটা নতুন জগৎ তৈরি হয়েছিল
anik.sabbir.706@gmail.com
অপি করিম, অভিনেত্রী
১৮ বছর বয়সে একদম ভারহীন জীবনযাপন করেছি। আমার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগে পড়ব। ১৮ বছর বয়সেই আমি সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাই। তাই বলা যেতে পারে, সেই বয়সেই আমি আমার স্বপ্নের ভেতরে ঢুকে যেতে পেরেছিলাম।
এখন পর্যন্ত এটিই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। কারণ, সারা দেশ থেকে অসংখ্য শিক্ষার্থী সেই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন, কিন্তু ওই বিভাগে পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন মাত্র ৫৫ জন। আমি তাঁদের মধ্যে একজন। আর এর পরের বছর লাক্স ফটোজেনিক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। তখন টিভিতেও টুকটাক অভিনয় শুরু করি। কিছু বিজ্ঞাপনের কাজও করছিলাম, আর নাচের অনুষ্ঠান তো ছিলই। সব মিলিয়ে তখন আমার নতুন একটা জগৎ তৈরি হয়।
১৮ বছর বয়সে একদম ভারহীন জীবনযাপন করেছি। আমার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগে পড়ব। ১৮ বছর বয়সেই আমি সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাই। তাই বলা যেতে পারে, সেই বয়সেই আমি আমার স্বপ্নের ভেতরে ঢুকে যেতে পেরেছিলাম।
এখন পর্যন্ত এটিই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। কারণ, সারা দেশ থেকে অসংখ্য শিক্ষার্থী সেই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন, কিন্তু ওই বিভাগে পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন মাত্র ৫৫ জন। আমি তাঁদের মধ্যে একজন। আর এর পরের বছর লাক্স ফটোজেনিক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। তখন টিভিতেও টুকটাক অভিনয় শুরু করি। কিছু বিজ্ঞাপনের কাজও করছিলাম, আর নাচের অনুষ্ঠান তো ছিলই। সব মিলিয়ে তখন আমার নতুন একটা জগৎ তৈরি হয়।
আঠারোতে আমার প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ পায়
ন্যান্সি, সংগীতশিল্পী
আমার ১৮ বছর বয়সে চলচ্চিত্রে প্রথম গাওয়া গান ‘পৃথিবীর যত সুখ’ প্রকাশ পায়। তারকাখ্যাতি বলতে যা বোঝায় ওটা ওই বয়সেই অনুভব করি। এর আগে বিজ্ঞাপনের জিংগেল করেছিলাম বেশ কিছু। মানুষ আমাকে চিনতেন না, অনেকে নামটা জানতেন। তো ওই জিংগেলের বিজ্ঞাপন যখন প্রচারিত হতো, তখন ঘরের যেখানেই থাকি না কেন দৌড়ে টিভির সামনে চলে যেতাম। সিনেমার গানের পরপরই আমার প্রথম অ্যালবাম বাজারে আসে। তখনই আমাকে মানুষ চিনতে শুরু করেন। মজার ব্যাপার কী জানেন, অনেকেই আমাকে ভাবতেন অনেক বয়সী কেউ। এমনও হয়েছে, আমি কনসার্টে গাইতে গিয়েছি, আমার সামনেই লোকজন আমাকে খুঁজছেন।
আমার ১৮ বছর বয়সে চলচ্চিত্রে প্রথম গাওয়া গান ‘পৃথিবীর যত সুখ’ প্রকাশ পায়। তারকাখ্যাতি বলতে যা বোঝায় ওটা ওই বয়সেই অনুভব করি। এর আগে বিজ্ঞাপনের জিংগেল করেছিলাম বেশ কিছু। মানুষ আমাকে চিনতেন না, অনেকে নামটা জানতেন। তো ওই জিংগেলের বিজ্ঞাপন যখন প্রচারিত হতো, তখন ঘরের যেখানেই থাকি না কেন দৌড়ে টিভির সামনে চলে যেতাম। সিনেমার গানের পরপরই আমার প্রথম অ্যালবাম বাজারে আসে। তখনই আমাকে মানুষ চিনতে শুরু করেন। মজার ব্যাপার কী জানেন, অনেকেই আমাকে ভাবতেন অনেক বয়সী কেউ। এমনও হয়েছে, আমি কনসার্টে গাইতে গিয়েছি, আমার সামনেই লোকজন আমাকে খুঁজছেন।
গ্রন্থনা: * * * * *
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thanks for your nice comments............
b.reg
ANIK SABBIR